মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া দ্বীপে রয়েছে বিস্তৃত ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট। ১৯৯৯ সালে সরকার সোনাদিয়া দ্বীপকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে। সম্প্রতি এই দ্বীপ ও আশপাশের এলাকা, যেমন: ঘটিভাংগা, তাজিয়াকাটা ও হামিদার দিয়া এলাকায় ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট নিধন করে অবৈধ চিংড়ি ঘের তৈরির মহাযজ্ঞ চলছে। এই বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।
কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এই বিষয়ে আশু ব্যবস্থা নিতে সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, বেজা, পরিবেশ ও বন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর, জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার এবং পুলিশ সুপার, কক্সবাজারসহ ১২ জনকে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন।
এক রীট আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী-এর সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালত সকল অবৈধ চিংড়ী ঘেড় উচ্ছেদের পাশাপাশি এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করে হাইকোর্ট বিভাগে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মহেশখালীর বাসিন্দার এপক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টর আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন রীটতি দায়ের করেন। রীট আবেদনটি শুনানি করেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
পাঠকের মতামত